আজ ২রা কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১৮ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

এসএসসি সমমান পরীক্ষায় রাজশাহীর বিপ্রবেলঘরিয়ার মির্জাপুর দিয়ারপাড়ার মা-ছেলে ও খালার সফলতা

ভোরের আলো ডেস্কঃ

শিক্ষার কোনো বয়স নেই। এটা প্রমাণ করলেন রাজশাহীর বিপ্রবেলঘরিয়া ইউনিয়েনর মির্জাপুর গ্রামের মা-ছেলে ও তার খালা। ভাবতে অবাক হতে হয় যে, ছেলে সোহানের মা ও খালা একই ইউনিয়নের সংরক্ষিত আসনের নারী সদস্য। জনগণের প্রয়োজন সামলিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়ে সফলকাম হওয়া বিরল ঘটনা। মা প্রেরণা পেয়েছেন ছেলে সোহানের কাছ থেকে, আর খালা প্রেরণা পেয়েছেন তার স্বামীর কাছ থেকে। অতীতে অনেক ইচ্ছে ছিলো এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে তারা সফলকাম হওয়ার। কিন্তু পারেনি। ছেলের উৎসাহে মা আগ্রহ প্রকাশ করলে তার খালাও এতে অনুপ্রাণিত হয়। যার বিবরণ নিম্মে দেয়া গেলঃ

নাটোরের নলডাঙ্গায় ছেলের একসঙ্গে এসএসসি পাস করলেন মা, ছেলে ও খালা। রোববার (১২ মে) এসএসসি ফল প্রকাশের পর মা, ছেলে ও খালা এ ফল অর্জন করেন।

জানা গেছে, ছেলে সোহান ও মা নাসিমা বেগম উপজেলার বিপ্রবেলঘরিয়া ইউনিয়নের মির্জাপুর দিয়ারপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। খালা হালিমা বেগম একই ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর দিঘা গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের স্ত্রী। মা নাসিমা বেগম বিপ্রবেলঘরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান সংরক্ষিত ৪, ৫ ও ৬নং ওয়ার্ড ও খালা হালিমা বেগম একই ইউনিয়নের ৭, ৮ ও ৯নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী সদস্য। মা নাসিমা বেগম ও খালা হালিমা বেগম কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের আওতায় ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে ওমরগাড়ি ফাজিল মাদ্রাসার ভোকেশনাল শাখা থেকে এবং একই শিক্ষাবর্ষে ছেলে সোহান নাটোর কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে এসএসসি (সমমান) পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন।
পরীক্ষায় মা নাসিমা বেগম জিপিএ-৩.৬৪, ছেলে সোহান ৩.৯৬ ও খালা হালিমা ৩.৮৯ পেয়ে উত্তীর্ণ হন।
মা ও খালার সঙ্গে এসএসসি (সমমান) পরীক্ষায় পাস করে উচ্ছ্বসিত ছেলে সোহান। তিনি বলেন, আমি আমার মা ও খালা একসঙ্গে এসএসসি পাস করায় আমি আনন্দিত। আমার মাকে কেউ অশিক্ষিত বলতে পারবে না। এতে আমি অত্যন্ত খুশি।

মা নাসিমা বেগম বলেন, আমার খুব ইচ্ছা ছিল এসএসসি পাস করার। কিন্তু মা-বাবার সংসারে সেই ইচ্ছা পূরণ হয়নি। পরে আমি আমার ছেলের পরামর্শে এসএসসি পরীক্ষা দেওয়ার জন্য ইউপি সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর রাজশাহীর পুঠিয়া ওমরগাড়ি ভোকেশনাল মাদ্রাসায় ভর্তি হই। এসএসসি (সমমান) পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে আজ আমি পাস করেছি, তাই আমি আনন্দিত।
খালা হালিমা বেগম বলেন, আমি আমার স্বামীর পরামর্শে বোন নাসিমার সঙ্গে ওমরগাড়ি মাদ্রাসার ভোকেশনাল শাখায় ভর্তি হই। দুই বোন একসঙ্গে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাস করে আমরা অনেক খুশি।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালে উপজেলার বিপ্রবেলঘরিয়া ইউনিয়ন পরিষদ থেকে দুই বোন নাসিমা বেগম ও হালিমা বেগম ও নাটোরের ছাতনি ইউনিয়ন পরিষদ থেকে এক বোনসহ তিনবোন একসঙ্গে সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে নির্বাচিত হয়ে সারা দেশে আলোচিত ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     More News Of This Category